দৃষ্টি যখন বিতর্ক চর্চা নিয়ে নগরীতে কাজ শুরু করে তখন চট্টগ্রামে খুব একটা বিতর্ক চর্চা হতোনা। খুব সীমিত আকারে বিতর্ক চর্চা হতো। মেয়েদের স্কুলে যখন বিতর্ক চর্চার জন্য আমরা যেতামতখন মেয়েরা আসতো না। অভিভাবকেরা বাধা দিতেন। এখন চট্টগ্রামের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি কলেজ, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে বিতর্ক ক্লাব আছে। তারা বিতর্ক চর্চা করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতারআয়োজন করে। এই প্রতিযোগিতাগুলো তারা যে শুধু চট্টগ্রামের ভেতরে করছে তা নয়, ঢাকাসহসারাদেশের বিতর্ক দলগুলোকে তারা চট্টগ্রামে নিয়ে আসছে।’ বলছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণসম্পাদক সাবের শাহ।
চট্টগ্রামে বিতর্ক চর্চার পুরোধা সংগঠন দৃষ্টি চট্টগ্রাম। বিতর্ক নিয়ে চট্টগ্রামে যত আয়োজন তার প্রায়সবগুলোই দৃষ্টি চট্টগ্রামের হাত ধরে হয়েছে। প্রথম বিতর্ক উৎসব, প্রথম সংসদীয় ধারার বিতর্কপ্রতিযোগিতা, প্রথম বিতর্ক স্কুল (দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট) ও নিজেদের আবিষ্কার ‘ডিবেট–জিনিয়াস’।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দৃষ্টি চট্টগ্রাম সমাজে একটি বুদ্ধিদীপ্ত তারুণ্যের ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু তাদের এ চলার পথেও ছিল নানা সংকট, প্রতিকূলতা। সেগুলো অতিক্রম করে তারা কিভাবেনিজেদের বলিষ্ঠ এবং অনুকরণীয় উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে সেসব কথা জানিয়েছেন সংগঠনেরনেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা দৈনিক পূর্বকোণের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন ‘পরিবর্তনের কারিগর’-এ।
দৈনিক পূর্বকোণ ফেসবুক ও নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেনদৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাসুদ বকুল, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, অনুষ্ঠান সম্পাদকডা. উর্মি রহমান ও দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট সদস্য মেহবুবা কবির তৃষা। এছাড়াও সেদিনের আয়োজনেউপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত, সহ সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান ও অনির্বাণ বড়ুয়া, স্কুল অব ডিবেট সদস্য প্রযুক্তি প্রেরণাচৌধুরী প্রমুখ।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সূচনা প্রসঙ্গে মাসুদ বকুল বলেন, ‘দৃষ্টি চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৯২ সালের ২২ফেব্রুয়ারি। আমরা শুরু করেছিলাম আবৃত্তি দিয়ে। প্রতিষ্ঠার এক বছর পর আমরা বিতর্ক চর্চা শুরুকরি।’
দৃষ্টি চট্টগ্রামের তিন ক্যাটাগরির সদস্য রয়েছে বলে জানান মাসুদ বকুল। এর মধ্যে রয়েছে ২৯সদস্যের নির্বাহী কমিটি। ৭০ জন সাধারণ সদস্য এবং এর বাইরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়োজিতকয়েক হাজার সহযোগী সদস্য ।
অনুষ্ঠান সম্পাদক ডা. উর্মি রহমান বলেন, ‘একজন ভালো বিতার্কিক হতে হলে সবার আগে একজনভালো মনের মানুষ হতে হবে। সত্য বলতে হবে। কারো সাথে মতের বিরোধ হলে সেখানেও যুক্তিদিয়ে নিজের বক্তব্যের যৌক্তিকতার প্রমাণ দিতে হবে। বিতর্কের মতো বাস্তবেও বিপক্ষের মানুষটিরবক্তব্য শুনতে হবে এবং সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্কুল অব ডিবেট সদস্য মেহবুবা কবির তৃষা বলেন, ‘দৃষ্টিআমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য পথ তৈরি করে দেয়। এটি আমাদের পরিবারের মতো, আমরা ভালোকরলে আমাদের যেমন প্রশংসা করে, তেমনি ভুল করলে তা শুধরে দেয়।’
সফলতা : উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক এবং ব্যক্তিগত সাফল্যের বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবেরশাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে দেশের ৬৪টি স্কুলের মধ্যে দৃষ্টি চট্টগ্রামেরস্কুল অব ডিবেটের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে আমাদের অন্যতমসাফল্য। আমাদের নির্বাহী কমিটির সদস্য, প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকআদনান মান্নান অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ‘থ্রি মিনিট থিসিস’ নামে একটি প্রতিযোগিতায় (কয়েকবছরের গবেষণাকে তিন মিনিটের মধ্যে প্রতিযোগিতায় তুলে আনতে হয়) অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এছাড়া আমাদের চট্টগ্রামের ছেলেরা আন্তর্জাতিক বিতর্কে অংশ নিচ্ছে, বিচারকহচ্ছে, এটাও আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
উল্লেখযোগ্য পরিবেশনা : দৃষ্টি চট্টগ্রাম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ নামে আবুল খায়ের গ্রুপের স্পন্সরে বড়একটি ইভেন্ট করেছে। ১৯৯৭ সালে প্রথম বিতর্ক উৎসবের আযোজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরসার্ধশত জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ২০১১ সালে আয়োজন করে রবীন্দ্র বিতর্ক উৎসবের। ১৯৯৫ সালে দৃষ্টিচট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৩ দিনের আবৃত্তি উৎসব আয়োজন করে।
বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি বিতর্কও আয়োজন করছে। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘ অধিবেশনেরআদলে মডেল ইউনাইটেড নেশন (এমইউএন ) কর্মশালা ও অধিবেশন আয়োজন করে আসছে।নিয়মিত আয়োজর করে বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালা ও উৎসব। ২০১৫ ও ১৬ সালে চট্টগ্রামের পাশাপাশিকক্সবাজার ও রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় দৃষ্টি আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
প্রশিক্ষণ : বিতর্কের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও চর্চার জন্য চালু রয়েছে ৪ মাসব্যাপী বিতর্ক স্কুলিংসাটিফিকেট কোর্স অব ডিবেট ‘দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট’।
সম্মাননা : দৃষ্টি চট্টগ্রাম ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন বাংলাদেশ ডিবেটফেডারেশনের সেরা সংগঠনের পুরস্কার বা সম্মননা লাভ করে।
আগামীর পরিকল্পনা : সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল বলেন, বিতর্ক কমপ্লেক্স গড়ার ইচ্ছে রয়েছে।যেখানে থাকবে একটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, থাকবে প্রশিক্ষণ কক্ষ, মুক্তমনা মানুষের আড্ডা ও অনুষ্ঠানআয়োজনের ব্যবস্থা।
চট্টগ্রামে বিতর্ক চর্চার পুরোধা সংগঠন দৃষ্টি চট্টগ্রাম। বিতর্ক নিয়ে চট্টগ্রামে যত আয়োজন তার প্রায়সবগুলোই দৃষ্টি চট্টগ্রামের হাত ধরে হয়েছে। প্রথম বিতর্ক উৎসব, প্রথম সংসদীয় ধারার বিতর্কপ্রতিযোগিতা, প্রথম বিতর্ক স্কুল (দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট) ও নিজেদের আবিষ্কার ‘ডিবেট–জিনিয়াস’।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দৃষ্টি চট্টগ্রাম সমাজে একটি বুদ্ধিদীপ্ত তারুণ্যের ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু তাদের এ চলার পথেও ছিল নানা সংকট, প্রতিকূলতা। সেগুলো অতিক্রম করে তারা কিভাবেনিজেদের বলিষ্ঠ এবং অনুকরণীয় উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে সেসব কথা জানিয়েছেন সংগঠনেরনেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা দৈনিক পূর্বকোণের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন ‘পরিবর্তনের কারিগর’-এ।
দৈনিক পূর্বকোণ ফেসবুক ও নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেনদৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাসুদ বকুল, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, অনুষ্ঠান সম্পাদকডা. উর্মি রহমান ও দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট সদস্য মেহবুবা কবির তৃষা। এছাড়াও সেদিনের আয়োজনেউপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত, সহ সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান ও অনির্বাণ বড়ুয়া, স্কুল অব ডিবেট সদস্য প্রযুক্তি প্রেরণাচৌধুরী প্রমুখ।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সূচনা প্রসঙ্গে মাসুদ বকুল বলেন, ‘দৃষ্টি চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৯২ সালের ২২ফেব্রুয়ারি। আমরা শুরু করেছিলাম আবৃত্তি দিয়ে। প্রতিষ্ঠার এক বছর পর আমরা বিতর্ক চর্চা শুরুকরি।’
দৃষ্টি চট্টগ্রামের তিন ক্যাটাগরির সদস্য রয়েছে বলে জানান মাসুদ বকুল। এর মধ্যে রয়েছে ২৯সদস্যের নির্বাহী কমিটি। ৭০ জন সাধারণ সদস্য এবং এর বাইরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়োজিতকয়েক হাজার সহযোগী সদস্য ।
অনুষ্ঠান সম্পাদক ডা. উর্মি রহমান বলেন, ‘একজন ভালো বিতার্কিক হতে হলে সবার আগে একজনভালো মনের মানুষ হতে হবে। সত্য বলতে হবে। কারো সাথে মতের বিরোধ হলে সেখানেও যুক্তিদিয়ে নিজের বক্তব্যের যৌক্তিকতার প্রমাণ দিতে হবে। বিতর্কের মতো বাস্তবেও বিপক্ষের মানুষটিরবক্তব্য শুনতে হবে এবং সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্কুল অব ডিবেট সদস্য মেহবুবা কবির তৃষা বলেন, ‘দৃষ্টিআমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য পথ তৈরি করে দেয়। এটি আমাদের পরিবারের মতো, আমরা ভালোকরলে আমাদের যেমন প্রশংসা করে, তেমনি ভুল করলে তা শুধরে দেয়।’
সফলতা : উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক এবং ব্যক্তিগত সাফল্যের বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবেরশাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে দেশের ৬৪টি স্কুলের মধ্যে দৃষ্টি চট্টগ্রামেরস্কুল অব ডিবেটের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে আমাদের অন্যতমসাফল্য। আমাদের নির্বাহী কমিটির সদস্য, প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকআদনান মান্নান অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ‘থ্রি মিনিট থিসিস’ নামে একটি প্রতিযোগিতায় (কয়েকবছরের গবেষণাকে তিন মিনিটের মধ্যে প্রতিযোগিতায় তুলে আনতে হয়) অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এছাড়া আমাদের চট্টগ্রামের ছেলেরা আন্তর্জাতিক বিতর্কে অংশ নিচ্ছে, বিচারকহচ্ছে, এটাও আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
উল্লেখযোগ্য পরিবেশনা : দৃষ্টি চট্টগ্রাম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ নামে আবুল খায়ের গ্রুপের স্পন্সরে বড়একটি ইভেন্ট করেছে। ১৯৯৭ সালে প্রথম বিতর্ক উৎসবের আযোজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরসার্ধশত জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ২০১১ সালে আয়োজন করে রবীন্দ্র বিতর্ক উৎসবের। ১৯৯৫ সালে দৃষ্টিচট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৩ দিনের আবৃত্তি উৎসব আয়োজন করে।
বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি বিতর্কও আয়োজন করছে। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘ অধিবেশনেরআদলে মডেল ইউনাইটেড নেশন (এমইউএন ) কর্মশালা ও অধিবেশন আয়োজন করে আসছে।নিয়মিত আয়োজর করে বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালা ও উৎসব। ২০১৫ ও ১৬ সালে চট্টগ্রামের পাশাপাশিকক্সবাজার ও রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় দৃষ্টি আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
প্রশিক্ষণ : বিতর্কের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও চর্চার জন্য চালু রয়েছে ৪ মাসব্যাপী বিতর্ক স্কুলিংসাটিফিকেট কোর্স অব ডিবেট ‘দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট’।
সম্মাননা : দৃষ্টি চট্টগ্রাম ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন বাংলাদেশ ডিবেটফেডারেশনের সেরা সংগঠনের পুরস্কার বা সম্মননা লাভ করে।
আগামীর পরিকল্পনা : সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল বলেন, বিতর্ক কমপ্লেক্স গড়ার ইচ্ছে রয়েছে।যেখানে থাকবে একটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, থাকবে প্রশিক্ষণ কক্ষ, মুক্তমনা মানুষের আড্ডা ও অনুষ্ঠানআয়োজনের ব্যবস্থা।
No comments:
Post a Comment