বৈ শা খী সা জ স জ্জা - .

.

.

Loading...

Breaking

Home Top Ad

loading...

Post Top Ad

Saturday, April 21, 2018

বৈ শা খী সা জ স জ্জা

সাজসজ্জা
* মেকআপের আগে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন।
* দিনে বের হলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মুখের ডার্ক স্পটগুলো কনসিল করে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এর ওপর ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকা করে লাগিয়ে পানি স্প্রে করে স্পঞ্জ দিয়ে চেপে মেকআপটা বসিয়ে দিন।
* দিনের সাজে চোখের নিচের পাতায় আইলাইনার বা মাসকারা না লাগানোই ভালো। রাতের সাজে তা চলতে পারে।
* গøসি লিপস্টিক দিনে এড়িয়ে চলুন, গরমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
* দিনে ভারী সাজ এড়িয়ে চলুন। মিনারেল মেকআপ ব্যবহার করুন, এতে ঘাম কম হবে। প্রাথমিক বেজটা করুন পাতলা করে।
টিপস
* চোখ ও ঠোঁটে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিলে মেকআপটা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
* আই শ্যাডো লাগানোর আগে চোখের নিচে পাউডার লাগিয়ে নিন, শ্যাডো লাগানোর সময় ত্বকের ওপর যা পড়বে তা ঝেড়ে ফেলতে পারেন।
* সারা দিনের মেকআপ ঠিক রাখতে ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করুন। ঘেমে যাওয়া ও তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া অংশগুলোতে হালকা চাপ দিয়ে নিন। এতে সারাদিন সতেজ থাকবেন।
* মেকআপ দেওয়ার পর ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। গরম বাতাসে ফাউন্ডেশন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চুলের যতœ
* সপ্তাহে একবার হেয়ার ট্রিটমেন্ট করুন। চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।
* আগের দিন দুই চামচ পানিতে দুটো ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার ভেজা চুলে তা ম্যাসেজ করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
চুলের সাজ
* দিনে শাড়ি পরলে চুলে খোঁপা বা বেণি করতে পারেন। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে ফ্রেঞ্চবেণি ভালো লাগবে।
* চুল বেঁধে একপাশে বেলী ফুলের মালা বা লাল-সাদা কম্বিনেশনের গোলাপ, জারবারা বা অন্য যে কোনো ফুল আটকে নিতে পারেন।
* চুল আটকাতে সুন্দর ক্লিপ ব্যবহার করতে পারেন।
* সন্ধ্যায় চুল খোলা রাখতে পারেন। তবে বেøা, কার্ল বা আয়রন করে নিলে চুল সহজেই বশে থাকবে।
টিপ
* বৈশাখে লাল টিপ তো অবশ্যই। তবে শাড়ি বা অন্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ভিন্ন রংয়ের টিপও পরতে পারেন। চাইলে ছোট্ট করে কপালে আলপনার টিপও এঁকে নিতে পারেন। সব মুখের সঙ্গে সব ধরনের টিপ মানানসই হয় না।
* গোল মুখে লম্বা টিপ পরুন। এতে মুখের গোল ভাবটা কমবে।
* লম্বাটে মুখে গোল টিপ মানানসই। মুখটা একটু গোল মনে হবে।
* চৌকো মুখে টিপ সহজে মানায় না। তবে লম্বা ধরনের টিপ পরা যেতে পারে।
* চ্যাপ্টাকৃতির মুখে লম্বা, গোল সবই পরা যায়। তবে লম্বাটে টিপ পরাই ভালো।
গহনার সাজ
* শাড়ির সঙ্গে বিডসের মালা ও ছোট ঝোলানো দুল পরতে পারেন।
* শাড়ি জমকালো হলে গলায় কিছু না পরে কানে ছোট দুল পরুন।
* জামদানি বা টাঙ্গাইলের শাড়ি হলে বড় দুল পরতে পারেন।
* রাতের অনুষ্ঠানে গলার গয়নাটা ভারী হলে কানে ছোট্ট দুল পরুন।
* সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কড়ির দুল ভালো লাগবে।
* শাড়ির সঙ্গে মুক্তার দুই বা তিন লহরের মালা এবং ছোট্ট দুল ভালো লাগবে। * স্বর্ণের বা গোল্ডপ্লেটেড গয়নায় লাল মীনা করা থাকলে লাল-সোনালি পাড়ের সঙ্গে ভালো মানাবে।
ত্বকের যতœ
পহেলা বৈশাখের সকাল থেকে সন্ধ্যাÑ সারা দিনই থাকে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান। এসবের সঙ্গে অবশ্য উৎপাত হিসেবে যোগ হয় রোদ আর ধুলা। কিন্তু তাই বলে এসবের ভয়ে দিনটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে হবে? কোনো মানেই হয় না। প্রকৃতির এমন রুক্ষ মেজাজ ও সারা দিনের ঘোরাঘুরি মাথায় রেখেই সাজগোজ করতে হবে। মেকআপ যদি ওয়াটার বেসড না হয়, তবে দেখা যায় সকাল পেরিয়ে দুপুর হতে না হতেই মুখের বিভিন্ন অংশে সাদা ছোপ ছোপ হয়ে যায়। এ দিনটিতে মুখের সাজটা হওয়া চাই হালকা। সবচেয়ে ভালো হয় মেকআপ যতোটা সম্ভব কম করলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঘাড়, হাত ও মুখে সানস্ক্রিন লাগিয়ে প্যানস্টিক ব্যবহার করতে হবে। এরপর আপনি পছন্দমতো মেকআপ নিতে পারেন।
মেকআপ গলে যাওয়া এবং মুখের বিভিন্ন অংশে জমাট বেঁধে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে চূড়ান্ত মেকআপ করার আগে ও প্যানস্টিক দেয়ার পর মুখে পাউডার লাগিয়ে নিন। এরপর ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে তা ভালো করে মেশাতে হবে। নয়তো মেকআপ বসবে না। এ ক্ষেত্রে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বেস মেকআপ হিসেবে এতোটুকুই যথেষ্ট। তাপমাত্রা বেশি থাকায় কাজল ও লিপস্টিক নির্বাচন করুন ম্যাট জাতীয়। নতুবা রোদের তাপে কাজল ছড়িয়ে যেতে পারে। সারা দিন বাইরে ঘোরাঘুরির ফলে ত্বক ও শরীর কিছুক্ষণ পরপরই ঘেমে যায়। ঘামের সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত ধুলা, যা ত্বকে বসে যায়। এ অবস্থায় ভেজা স্পঞ্জ বা ভেজা টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে ত্বক মুছতে হবে কিছুক্ষণ পর পর। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। তাই এ দিনে পানি পান করতে হবে বেশি।
* টিনএজারদের খুব পছন্দ হলো চুলে রঙ করা। যে রঙই করুন না কেন তা আপনাকে মানায় কি-না বা দেখতে ভালো লাগছে কি-না সে বিষয়ে লক্ষ রাখুন। যদি চুলে রঙ করতে চান তবে ভালো কোনো বিউটি স্যালুনে যান। ঘরে রঙ করতে চাইলে ভালো ব্র্যান্ডের রঙ ব্যবহার করুন। নিয়মিত কালার ট্রিটেড হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
* ফাউন্ডেশন টিনএজ বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। তাই এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। বাইরে যাওয়ার সময় একটু বরফ ঘষে হালকা ফেস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
* বাইরে যাওয়ার সময় নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস বজায় থাকলে আপনি ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে পারবেন।

No comments:

Post Bottom Ad

loading...

Pages