আর্জেন্টিনা দল
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ২১ দিন বাকি। মাঠের প্রস্তুতি চলছে দলগুলোর।
ঘাম ঝরাচ্ছেন লিওনেল মেসিরাও। আর এই সময়ই ডান হাঁটুতে চোট পেলেন
আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। তা এতটাই গুরুতর যে,
বিশ্বকাপের ২৩ জনের চূড়ান্ত দল থেকে ছিটকে গেলেন। যত দ্রুত সম্ভব বিকল্প
গোলরক্ষকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
(এএফএ)। নির্ভরযোগ্য এই ফুটবলারকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার
স্বপ্নটা শুরুর আগেই ধাক্কা খেলো। কারণ ২০১০, ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার
এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন রোমেরো। আর্জেন্টিনার হয়ে এ পর্যন্ত ৮৩টি ম্যাচ
খেলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বুয়েনেসে অনুশীলনের সময় চোট পান এই রোমেরো। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছেন, 'তার ডান হাঁটুতে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ২৩ জনের যে দল অংশ নেবে রোমেরোকে সেখান থেকে বাদ দেয়া হবে।'
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা বাকি দুই গোলরক্ষক চেলসির উইলি ক্যাবালেরো ও রিভারপ্লেটের ফ্রাঙ্কো আরমানি। রোমেরোর বিকল্প হিসেবে প্রাথমিক দল থেকে তাইগ্রেসের গোলরক্ষক নাহুয়েল গুজম্যানের নাম ঘোষণা করতে পারে এএফএ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বেশ শক্ত পরীক্ষাই দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ড। আগামী ১৬ জুন মস্কোয় আইসল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে আর্জেন্টিনা।
মেসির কারণেই বাদ পড়লেন ইকার্ডি?
আর্জেন্টিনা ক্যাম্পে এখনো মেসিই যে শেষ কথা বলেন তা স্পষ্ট হয়ে গেল কোচ জর্জে স্যাম্পাওলির দল ঘোষণার পরই। বিশ্বকাপের ২৩ জনের দলে অনেক অনামী ফুটবলার সুযোগ পেলেন, সুযোগ পেলেন না শুধু ইন্টার মিলান অধিনায়ক মউরো ইকার্ডি। আর্জেন্টিনা শিবিরে কান পাতলেই শোনা যায় ইকার্ডি আর মেসির সম্পর্ক নাকি সাপে-নেউলে । দুই ফরোয়ার্ডের যে একেবারেই বনিবনা নেই তা এখন সম্ভবত গোটা আর্জেন্টিনাই জেনে গিয়েছে। আর অধিনায়কের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার অভাবই কাল হলো সিরি আ-র সেরা গোলস্কোরার ইকার্ডির । রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ২৩ জনের দলে স্থান পেলেন না তিনি।
গত মরশুমে ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ইকার্ডি । নিজের ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৯ টি গোল করেছেন তিনি, বলতে গেলে একার হাতে মান বাঁচিয়েছেন ক্লাবের, তা সত্ত্বেও রাশিয়াগামী প্লেনে স্থান পেলেন না তিনি। তার পরিবর্তে দলে স্থান পেলেন আগুয়েরো, হিগুয়েন, পাওলো দিবালারা। এদের প্রত্যেকেরই ম্যাচ পিছু গোলের হার মউরো ইকার্ডির থেকে বেশ কম। বাছাই পর্বে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার জেরেই ভুগতে হয়েছিল নীল-সাদা ব্রিগেডকে। বিশ্বের সবচেয়ে নামী ফরোয়ার্ড লাইন থাকা সত্ত্বেও বাছাই পর্বের ১৮ টি ম্যাচে মাত্র ১৯ টি গোল করেছিল আর্জেন্টিনা, ফলস্বরূপ একসময় অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপে তাদের সুযোগ পাওয়া। শেষমেষ একা মেসি-ম্যাজিকে ভর করে রাশিয়ার টিকিট পায় আর্জেন্টিনা।
মূল পর্বেও কোচ স্যাম্পাওলির ভরসা সেই বার্সা সুপারস্টারই। কারণ একা স্যাম্পাওলি নন, সম্ভবত গোটা বিশ্বই জানে এই আর্জেন্টিনাকে যদি ভাল কিছু করতে হয় তাহলে ম্যাজিক দেখাতে হবে এলএম টেনকেই । কারণ ফরোয়ার্ড লাইনে বিশ্বসেরা স্ট্রাইকাররা থাকলেও তাদের পিছনে খুব একটা শক্তিশালী নয় নীল-সাদা ব্রিগেড। রোমেরো. দি মারিয়া, ওটামেন্ডি, মাসচারানোর মত কয়েকজন চেনা ফুটবলার থাকলেও, যারা ক্লাব ফুটবল দেখেন না তাদের কাছে ২৩ জনের দলের অধিকাংশ সদস্যই অপরিচিত।
গোলকিপার-
সের্জিও রোমেরো (ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), ক্যাবেয়ারো (চেলসি), আরমানি (রিভার প্লেট)
ডিফেন্স-
গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো(সেভিয়া), ফ্রেডরিকো ফাজিও(রোমা), নিকোলাস ওটামেন্ডি(ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), মার্কোস রোহো(ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো(আয়াখস), মাসচারানো (হেবেই ফর্চুন), আকুনা(স্পোর্টিং লিসবন), আনসালাদি(তোরিনো)
মিডফিল্ড-
এভার বানেগা(সেভিয়া), লুকাস বিলিয়া(মিলান), দি মারিয়া( প্যারিস সাঁ জাঁ), জিওভানি লো সেলসো (প্যারিস সাঁ জাঁ), ম্যানুয়েল লানজিনি(ওয়েস্ট হ্যাম), ক্রিশ্চিয়ান পাবন( বোকা জুনিয়র), ম্যাক্সিমিলানো মেজা(ফ্রি এজেন্ট), এদুয়ার্দো সালভিয়ো( বেনফিকা)।
ফরোয়ার্ড
লিওনেল মেসি(বার্সেলোনা), হিগুয়েন(জুভেন্তাস), পাওলো দিবালা(জুভেন্তাস), সের্জিও আগুয়েরো(ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)। (২২ মে প্রকাশিত সংবাদ)
এবারই শেষ বিশ্বকাপ তাদের
অল্পের জন্য গত বিশ্বকাপের ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক জাভিয়ার মাসচেরানো
বয়স তাদের বড্ড বেশি হয়ে গেছে। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপই তাদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে। এই তালিকায় অনেকে থাকলেও স্পট লাইট থাকবে চারজনের ওপর। এরা হলেন- আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক হ্যাভিয়ার মাসকেরানো, স্পেনের ২০১০ এর ফাইনালের নায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফুটবলার টিম কাহিল এবং মেক্সিকোর রাফায়েল মারকুয়েজের ওপর।
রাফায়েল মারকুয়েজ
২০০২ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর নেতৃত্ব দেয়া রাফায়েল মারকুয়েজ টানা চার বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪ এর পর এবার হবে সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডারটির সর্বশেষ বিশ্বকাপ। এখন তার বয়স ৩৯ বছর। ২০১০ এ তার গোলেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সমতা এনেছিল মেক্সিকো। ১৯ বছর বয়স হওয়ায় ১৯৯৮ এর ফ্রান্স বিশ্বকাপ দলে সুযোগ হয়নি তার। তিনিই মেক্সিকোর প্রথম খেলোয়াড় যার আছে টানা চার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়ার কৃতিত্ব।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
একবারই বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। ২০১০ এর সেই ফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র গোল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন তিনি। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে স্পেন দলে সুযোগ হয় এই বার্সা তারকার। বিশ্বকাপে অভিষেক সৌদি আরবের বিপক্ষে। এরপর থেকে স্পেন দলের মধ্য মাঠের কাণ্ডারি তিনি। এখন তার বয়স গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ এ।
জাভিয়ার মাসচেরানো
২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৪ বিশ্বকাপ। প্রতি আসরেই আর্জেন্টিনা দলে প্রতি ম্যাচে পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন। আর্জেন্টনার সাবেক এই ক্যাপ্টেন অল্পের জন্য গত বিশ্বকাপের ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। এবার এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের শেষ সুযোগ রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো। ২০০৬ এ আইভোরি কোস্টের বিপেক্ষ অভিষেক হওয়া মাসচেরানোর বর্তমান বয়স ৩৩।
টিম কাহিল
অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলের তারকা টিম কাহিল। তিন বিশ্বকাপে তার গোল আছে। বিশ্বকাপে তার মোট গোল পাঁচটি। সকারুজদের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত একাদশে সুযোগ পেলে তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। ২০০৬ এর জার্মান বিশ্বকাপে তার গোল ছিল জাপানের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে বল পাঠান চিলির জালে। ৩৮ বছর বয়সী টিম কাহিলের এটাই হবে শেষ বিশ্বকাপ।
মঙ্গলবার বুয়েনেসে অনুশীলনের সময় চোট পান এই রোমেরো। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছেন, 'তার ডান হাঁটুতে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ২৩ জনের যে দল অংশ নেবে রোমেরোকে সেখান থেকে বাদ দেয়া হবে।'
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা বাকি দুই গোলরক্ষক চেলসির উইলি ক্যাবালেরো ও রিভারপ্লেটের ফ্রাঙ্কো আরমানি। রোমেরোর বিকল্প হিসেবে প্রাথমিক দল থেকে তাইগ্রেসের গোলরক্ষক নাহুয়েল গুজম্যানের নাম ঘোষণা করতে পারে এএফএ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বেশ শক্ত পরীক্ষাই দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ড। আগামী ১৬ জুন মস্কোয় আইসল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে আর্জেন্টিনা।
মেসির কারণেই বাদ পড়লেন ইকার্ডি?
আর্জেন্টিনা ক্যাম্পে এখনো মেসিই যে শেষ কথা বলেন তা স্পষ্ট হয়ে গেল কোচ জর্জে স্যাম্পাওলির দল ঘোষণার পরই। বিশ্বকাপের ২৩ জনের দলে অনেক অনামী ফুটবলার সুযোগ পেলেন, সুযোগ পেলেন না শুধু ইন্টার মিলান অধিনায়ক মউরো ইকার্ডি। আর্জেন্টিনা শিবিরে কান পাতলেই শোনা যায় ইকার্ডি আর মেসির সম্পর্ক নাকি সাপে-নেউলে । দুই ফরোয়ার্ডের যে একেবারেই বনিবনা নেই তা এখন সম্ভবত গোটা আর্জেন্টিনাই জেনে গিয়েছে। আর অধিনায়কের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার অভাবই কাল হলো সিরি আ-র সেরা গোলস্কোরার ইকার্ডির । রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ২৩ জনের দলে স্থান পেলেন না তিনি।
গত মরশুমে ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ইকার্ডি । নিজের ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৯ টি গোল করেছেন তিনি, বলতে গেলে একার হাতে মান বাঁচিয়েছেন ক্লাবের, তা সত্ত্বেও রাশিয়াগামী প্লেনে স্থান পেলেন না তিনি। তার পরিবর্তে দলে স্থান পেলেন আগুয়েরো, হিগুয়েন, পাওলো দিবালারা। এদের প্রত্যেকেরই ম্যাচ পিছু গোলের হার মউরো ইকার্ডির থেকে বেশ কম। বাছাই পর্বে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার জেরেই ভুগতে হয়েছিল নীল-সাদা ব্রিগেডকে। বিশ্বের সবচেয়ে নামী ফরোয়ার্ড লাইন থাকা সত্ত্বেও বাছাই পর্বের ১৮ টি ম্যাচে মাত্র ১৯ টি গোল করেছিল আর্জেন্টিনা, ফলস্বরূপ একসময় অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপে তাদের সুযোগ পাওয়া। শেষমেষ একা মেসি-ম্যাজিকে ভর করে রাশিয়ার টিকিট পায় আর্জেন্টিনা।
মূল পর্বেও কোচ স্যাম্পাওলির ভরসা সেই বার্সা সুপারস্টারই। কারণ একা স্যাম্পাওলি নন, সম্ভবত গোটা বিশ্বই জানে এই আর্জেন্টিনাকে যদি ভাল কিছু করতে হয় তাহলে ম্যাজিক দেখাতে হবে এলএম টেনকেই । কারণ ফরোয়ার্ড লাইনে বিশ্বসেরা স্ট্রাইকাররা থাকলেও তাদের পিছনে খুব একটা শক্তিশালী নয় নীল-সাদা ব্রিগেড। রোমেরো. দি মারিয়া, ওটামেন্ডি, মাসচারানোর মত কয়েকজন চেনা ফুটবলার থাকলেও, যারা ক্লাব ফুটবল দেখেন না তাদের কাছে ২৩ জনের দলের অধিকাংশ সদস্যই অপরিচিত।
গোলকিপার-
সের্জিও রোমেরো (ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), ক্যাবেয়ারো (চেলসি), আরমানি (রিভার প্লেট)
ডিফেন্স-
গ্যাব্রিয়েল মার্কাডো(সেভিয়া), ফ্রেডরিকো ফাজিও(রোমা), নিকোলাস ওটামেন্ডি(ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), মার্কোস রোহো(ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো(আয়াখস), মাসচারানো (হেবেই ফর্চুন), আকুনা(স্পোর্টিং লিসবন), আনসালাদি(তোরিনো)
মিডফিল্ড-
এভার বানেগা(সেভিয়া), লুকাস বিলিয়া(মিলান), দি মারিয়া( প্যারিস সাঁ জাঁ), জিওভানি লো সেলসো (প্যারিস সাঁ জাঁ), ম্যানুয়েল লানজিনি(ওয়েস্ট হ্যাম), ক্রিশ্চিয়ান পাবন( বোকা জুনিয়র), ম্যাক্সিমিলানো মেজা(ফ্রি এজেন্ট), এদুয়ার্দো সালভিয়ো( বেনফিকা)।
ফরোয়ার্ড
লিওনেল মেসি(বার্সেলোনা), হিগুয়েন(জুভেন্তাস), পাওলো দিবালা(জুভেন্তাস), সের্জিও আগুয়েরো(ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)। (২২ মে প্রকাশিত সংবাদ)
এবারই শেষ বিশ্বকাপ তাদের
অল্পের জন্য গত বিশ্বকাপের ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক জাভিয়ার মাসচেরানো
বয়স তাদের বড্ড বেশি হয়ে গেছে। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপই তাদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে। এই তালিকায় অনেকে থাকলেও স্পট লাইট থাকবে চারজনের ওপর। এরা হলেন- আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক হ্যাভিয়ার মাসকেরানো, স্পেনের ২০১০ এর ফাইনালের নায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফুটবলার টিম কাহিল এবং মেক্সিকোর রাফায়েল মারকুয়েজের ওপর।
রাফায়েল মারকুয়েজ
২০০২ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর নেতৃত্ব দেয়া রাফায়েল মারকুয়েজ টানা চার বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪ এর পর এবার হবে সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডারটির সর্বশেষ বিশ্বকাপ। এখন তার বয়স ৩৯ বছর। ২০১০ এ তার গোলেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সমতা এনেছিল মেক্সিকো। ১৯ বছর বয়স হওয়ায় ১৯৯৮ এর ফ্রান্স বিশ্বকাপ দলে সুযোগ হয়নি তার। তিনিই মেক্সিকোর প্রথম খেলোয়াড় যার আছে টানা চার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়ার কৃতিত্ব।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
একবারই বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। ২০১০ এর সেই ফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র গোল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন তিনি। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে স্পেন দলে সুযোগ হয় এই বার্সা তারকার। বিশ্বকাপে অভিষেক সৌদি আরবের বিপক্ষে। এরপর থেকে স্পেন দলের মধ্য মাঠের কাণ্ডারি তিনি। এখন তার বয়স গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ এ।
জাভিয়ার মাসচেরানো
২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৪ বিশ্বকাপ। প্রতি আসরেই আর্জেন্টিনা দলে প্রতি ম্যাচে পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন। আর্জেন্টনার সাবেক এই ক্যাপ্টেন অল্পের জন্য গত বিশ্বকাপের ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। এবার এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের শেষ সুযোগ রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো। ২০০৬ এ আইভোরি কোস্টের বিপেক্ষ অভিষেক হওয়া মাসচেরানোর বর্তমান বয়স ৩৩।
টিম কাহিল
অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলের তারকা টিম কাহিল। তিন বিশ্বকাপে তার গোল আছে। বিশ্বকাপে তার মোট গোল পাঁচটি। সকারুজদের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত একাদশে সুযোগ পেলে তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। ২০০৬ এর জার্মান বিশ্বকাপে তার গোল ছিল জাপানের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে বল পাঠান চিলির জালে। ৩৮ বছর বয়সী টিম কাহিলের এটাই হবে শেষ বিশ্বকাপ।
No comments:
Post a Comment