বৃষ্টিতে ম্যাচ ভণ্ডুল হলে কেকেআরের কী হবে? - .

.

.

Loading...

Breaking

Home Top Ad

loading...

Post Top Ad

Wednesday, May 23, 2018

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভণ্ডুল হলে কেকেআরের কী হবে?

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভণ্ডুল হলে কেকেআরের কী হবে?
ইডেনে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলের এলিমিনেটরে নামার আগে কয়েক ধাপ এগিয়েই শুরু করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তার কারণ মূলত তিনটি, প্রথমটি অবশ্যই হোম অ্যাডভান্টেজ। ঘরের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য নাইট রাইডার্স। তার উপর থাকছে ইডেনের স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকের সমর্থন। সব ঠিক থাকলে ক্রিকেটের নন্দনকাননে দীনেশ কার্তিকদের জন্য গলা ফাটাবেন প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক। চাপের ম্যাচে গোটা স্টেডিয়ামের সমবেত চিৎকার যে নাইটদের মনোবল বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া দলের শক্তি বুঝে পিচের চরিত্র বদলের সুবিধা তো রয়েইছে।
দ্বিতীয় কারণটি রাজস্থান রয়্যালসের ভাঙাচোরা দল। যদি, প্রশ্ন করা হয় কার দৌলতে গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরিয়ে প্লে অফে পৌঁছল একসময় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে বসা রাজস্থান রয়্যালস, উত্তরটা অবশ্যই জোস বাটলার। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভাল না করলেও শেষদিকে, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন স্টোকসও। কিন্তু মহা গুরুত্বপূর্ণ প্লে-অফের ম্যাচে দলের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটারকেই পাচ্ছে না রয়্যালস। জাতীয় দলে খেলার জন্য তাদের দেশে ফিরে যেতে হয়েছে। বাটলার বা স্টোকসের পরিবর্ত হিসেবে যারা খেলছেন তারা এখনো সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি টুর্নামেন্টে।
তৃতীয় কারণ মানসিক চাপ এবং পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান বলছে ইডেনে নাইটদের বিরুদ্ধে রয়্যালসের রেকর্ড মোটেই সুখকর নয়। ঘরের মাঠে রাহানেদের বিরুদ্ধে শেষ ছটি ম্যাচে জিতেছে কেকেআর। এই মরশুমেও দুটি ম্যাচের কোনওটিতেই দীনেশ কার্তিকদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি শেন ওয়ার্নের ছেলেরা। শেষ ম্যাচে ইডেনে ভাল শুরু করেও শেষমেশ কেকেআর স্পিনারদের সামনে মাথা নত করে রাজস্থানের মিডল-অর্ডার। তবে, চাপের মধ্যে রয়্যালসের স্বস্তি এখনও পর্যন্ত আইপিএলে সব মিলিয়ে যে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে দুটি দল তার মধ্যে ৯টিতে জিতেছে রয়্যালস আর ৮টি জিতেছে কলকাতা।
ফর্ম এবং শক্তির বিচারেও রাজস্থানের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে কলকাতা। কেকেআরের হাতেই রয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে স্থিতিশীল ব্যাটিং লাইন-আপ। কেকেআর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুর্দান্ত ফর্মে দীনেশ কার্তিক এবং ক্রিস লিন। দুজনেই টুর্নামেন্টে চারশোর বেশি রান করে ফেলেছেন। কলকাতার ৬ জন ব্যাটসম্যান ২৫০-র বেশি রান করে ফেলেছেন এই টুর্নামেন্টে। অন্যদিকে, বাটলার ছাড়া রাজস্থানের আর কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে নজর কাড়েননি টুর্নামেন্টে। শুরুর দিকে সঞ্জু স্যামসন এবং অজিঙ্ক রাহানে ভালো খেললেও ধারাবাহিকতার অভাব ভুগিয়েছে তাদের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুলদীপ যাদব, সুনীল নারিনদের সামনে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
পরিস্থিতি অনুকুল থাকলেও কিন্তু নক-আউট ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবতে নারাজ নাইট শিবির। নিজেদের ফেভরিট তকমা দিতেও রাজি নন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। তার মতে, প্রতিটা ম্যাচ সমান গুরুত্ব দিয়ে খেলা উচিত। প্লে অফের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরনো রেকর্ড বা ফর্ম কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাছাড়া আন্ডারডগ রাজস্থান রয়্যালস যে বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে তা প্রথম আইপিএলে প্রমাণ করেছিলেন দলের বর্তমান মেন্টর তথা সাবেক অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন। অজিঙ্ক রাহানে, হেনরিখ ক্লাসেন, সঞ্জু স্যামসনরা যদি ঘুরে দাঁড়ান তাহলে বিপদে পড়ে যেতে পারে কেকেআরও।
তবে, এসব অঙ্কই ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারে বৃষ্টি।কলকাতার আকাশের যা অবস্থা তাতে ইডেনের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাতিল হয়ে যেতে পারে বৃষ্টির কারণে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস তাই বলছে। গতকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে শহর কলকাতায়, গতকাল অনুশীলন করতে পারেনি কোনো দলই, একই সম্ভাবনা রয়েছে আজও। তবে, বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হলেও চিন্তার কিছু নেই কেকেআর সমর্থকদের। কারণ সেক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবিলে উপরের দিকে থাকার দরুণ কোয়ালিফায়ার টু তে খেলার সুযোগ পাবে তারাই।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সাকিবদের হারিয়ে চেন্নাই ফাইনালে
রুদ্ধশাস ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২ উইকেটে হারিয়ে একাদশ আইপিএলের ফাইনালে উঠল চেন্নাই সুপার কিংস। ৪২ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে চেন্নাইয়ের জয়ের নায়ক ফাফ ডু’প্লেসি। মঙ্গলবার শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিএসকে’র দরকার ছিল ছয় রান। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে যবনিকা টানেন ডু’প্লেসি। তার ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন শার্দুল ঠাকুর। ৫ বলে ১৫ রান করেন চেন্নাইয়ের পেসারটি।
এদিন হারলেও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সাকিবদের হায়দরাবাদের সামনে। আগামী ২৫ মে ইডেনে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কেন উইলিয়ামসনরা খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্স-রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে।
প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৭ উইকেটে ১৩৯ রান তোলার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, সহজেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেবে চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। স্বল্প পুঁজি নিয়েও সানরাইজার্সের বোলাররা অনবদ্য লড়াই করে। যদিও সিদ্ধার্থ কল, রশিদ খানদের যাবতীয় লড়াইয়ে পানি ঢেলে দেন ডু’প্লেসি। পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় চেন্নাই।
চেন্নাইকে ১২৩ রানেই অল-আউট করে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয়।
হায়দরাবাদকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার বলে আউট হন শেন ওয়াটসন (০)। তবে চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন সিদ্ধার্থ কল। চতুর্থ ওভারে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তিনি তুলে নেন সুরেশ রায়না (২২) ও অম্বাতি রায়াডুকে (০)। আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে ধোনি (৯) বোল্ড হতেই ম্যাচের রাশ চলে যায় হায়দরাবাদের হাতে। ব্যর্থ ডোয়েন ব্র্যাভো (৭) এবং রবীন্দ্র জাদেজাও (৩)। মাত্র ৬২ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যায় চেন্নাইয়ের। সপ্তম উইকেটে দীপক চাহারকে সঙ্গে নিয়ে ফাফ ডু’প্লেসি ৩০ রান যোগ করেন। চাহার ১০ রানে আউট হলেও ডু’প্লেসি লড়াই জারি রাখেন।
দীপক চাহারের দুরন্ত ডেলিভারিতে সানরাইজার্সের তারকা ওপেনার শিখর ধাওয়ান (০) আউট হন। শ্রীবৎস গোস্বামী মাত্র ১২ রান করে লুঙ্গি এনগিডির হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে শার্দুল ঠাকুর চেন্নাইকে বড় সাফল্য এনে দেন। তার বলে উইলিয়ামসন ২৪ রানে ধোনির হাতে ধরা পড়েন। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। মিডল অর্ডারে দলকে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ মণীশ পাণ্ডে, সাকিব-আল-হাসান (১২)। ইউসুফ পাঠান ২৪ রান করেন। সপ্তম উইকেটে কার্লোস ব্রেথওয়েট ৫১ রানের জুটি গড়ে তোলেন ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে। ব্রেথওয়েট ২৯ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে রয়েছে একটি চার ও চারটি ছক্কা। ভুবনেশ্বর ৭ রান করেন।

No comments:

Post Bottom Ad

loading...

Pages